বিশ্বের অন্যতম ধনী রাষ্ট্র যুক্তরাজ্যে দারিদ্র্যের অন্ধকার দিক: প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিশু দারিদ্র্যসীমার নিচে!

যুক্তরাজ্য বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হওয়া সত্ত্বেও, প্রকাশিত নতুন রিপোর্টে এক উদ্বেগজনক তথ্য সামনে এসেছে: দেশটির প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিশু দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এই রিপোর্টে যুক্তরাজ্যে ক্রমবর্ধমান শিশু দারিদ্র্যের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে, যা দেশের সামাজিক বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক নীতির কার্যকারিতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।
By,
Admin

যুক্তরাজ্য বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশ হওয়া সত্ত্বেও, প্রকাশিত নতুন রিপোর্টে এক উদ্বেগজনক তথ্য সামনে এসেছে: দেশটির প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন শিশু দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। এই রিপোর্টে যুক্তরাজ্যে ক্রমবর্ধমান শিশু দারিদ্র্যের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে, যা দেশের সামাজিক বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক নীতির কার্যকারিতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, যুক্তরাজ্যে মোট শিশু জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ চরম আর্থিক অনটনের শিকার। লক্ষ লক্ষ শিশু পর্যাপ্ত পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতিকে একটি “জাতীয় লজ্জা” এবং “নৈতিক ব্যর্থতা” হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।

দারিদ্র্যের প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে স্থিতিশীল কর্মসংস্থান না থাকা, জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান খরচ, বাড়ি ভাড়ার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং সরকারি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির অপর্যাপ্ততা। অনেক কর্মরত পরিবারও এই সমস্যার শিকার হচ্ছে, যেখানে পিতামাতারা নিয়মিত কাজ করা সত্ত্বেও তাদের আয় শিশুদের জন্য পর্যাপ্ত জীবনধারণের ব্যবস্থা করতে পারছে না।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে যে, এই দারিদ্র্য জাতিগত সংখ্যালঘু এবং একক-অভিভাবক পরিবারগুলির মধ্যে বিশেষভাবে বেশি। নির্দিষ্ট কিছু অঞ্চলে, বিশেষ করে উত্তর ইংল্যান্ড এবং অভ্যন্তরীণ শহরগুলিতে, শিশু দারিদ্র্যের হার ৫০ শতাংশও ছাড়িয়ে গেছে। এই বৈষম্য আঞ্চলিক অসমতা এবং অর্থনৈতিক কাঠামোগত ত্রুটিগুলিকে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছে।

বিভিন্ন মানবাধিকার ও সমাজকল্যাণ সংস্থা সরকারের কাছে দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি, শিশুদের দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য মজুরি বৃদ্ধি, ভাতার পরিমাণ বাড়ানো এবং আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করার মতো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে হবে।

তারা সতর্কবার্তা দিয়েছে যে,বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে এই শিশুরা তাদের পূর্ণ বিকাশ করতে ঘটবে না।যা দেশের দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করবে।

সরকার এই রিপোর্টটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।যদিও সমালোচকরা মনে করছেন যে এই সমস্যা সমাধানে আরও দৃঢ় এবং দ্রুত পদক্ষেপ প্রয়োজন।

সাম্প্রতিক খবর
২০২৬ বিশ্বকাপে মেসি নাও খেলতে পারেন’ — ফুটবল দুনিয়ায় চাঞ্চল্য
SIR–এর নামে বাংলায় ভয় দেখানোর খেলা, লক্ষ্য রাষ্ট্রপতি শাসন’—অমিত শাহকে সরাসরি নিশানা মমতার
ইন্ডিগো বিপর্যয়: বৃহস্পতিবার ৫৫২টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল, দেশজুড়ে তীব্র ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা!
ইতিহাস গড়ার পথে ২০২৬ বিশ্বকাপ: ওয়াশিংটনে জমকালো ড্র আজ, ৪৮ দল নিয়ে নতুন আঙ্গিকে ১২টি গ্রুপ গঠন।