উত্তর গাজিপুরের সমীচণ্ডী তলায় আজ অনুষ্ঠিত হল প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সৌম্যচণ্ডী পূজা, যা এ বছর পদার্পণ করল আনুমানিক ২৪৯তম বছরে। স্থানীয় বারুজীবী সম্প্রদায়ের প্রধান উপাস্যা দেবী হওয়ায় এই পূজার গুরুত্ব গ্রামবাসীদের কাছে অপরিসীম।
ভোর থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাক-ঢোল, উলুধ্বনি ও শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে সমীচণ্ডীতলা চত্বর। প্রবীণ থেকে নবীন—সবাই মিলেমিশে পূজার আয়োজনের দায়িত্ব ভাগ করে নেন। দেবীর উদ্দেশে নিবেদন করা হয় নৈবেদ্য, ফলমূল ও বিভিন্ন পূজাসামগ্রী। পুরোহিতের মন্ত্রোচ্চারণে শেষ হয় মূল পূজা, তার পর সম্পন্ন হয় হোম-যজ্ঞ ও বিশেষ আরতি।
বিশেষ আকর্ষণ ছিল মায়ের অন্নকুট উৎসব, যেখানে গ্রামের মানুষসহ দূরদূরান্ত থেকে আগত ভক্তরা অংশগ্রহণ করেন। দেবী দর্শন ও প্রসাদ গ্রহণ করতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্তসমাগম আরও বৃদ্ধি পায়। সন্ধ্যার আরতি, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও আলোয় সাজানো পরিবেশে সমীচণ্ডীতলা হয়ে ওঠে অতুলনীয় মনোরম।
গ্রামবাসীদের কথায়, সৌম্যচণ্ডী দেবী তাঁদের রক্ষাকর্ত্রী, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে যাঁর আশীর্বাদেই গ্রাম শান্তি ও সমৃদ্ধি লাভ করেছে। তাই এই পূজা শুধু ধর্মীয় আচার নয়—বরং তাঁদের ঐতিহ্য, ভক্তি ও আবেগের প্রতীক।