কলকাতা: ২০১১ থেকে ২০২৫— একদেড় দশক ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি, প্রশাসন, উন্নয়ন ও জনকল্যাণে যে কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে, তার পূর্ণ হিসাব আজ (মঙ্গলবার) Nabanna–তে উপস্থাপন করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী Mamata Banerjee। ১৫ বছরের এই রিপোর্ট কার্ডকে শুধু একটি প্রশাসনিক নথি হিসেবে নয়, বরং সরকারী কর্মকাণ্ডের “প্রমাণপত্র” হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সরকারি সূত্র জানাচ্ছে, রিপোর্টে থাকবে প্রতিটি দফতরের বিস্তারিত বিবরণ। শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যখাত, সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, নারীর কল্যাণ, কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন— প্রতিটি ক্ষেত্রের সংখ্যা, ফলাফল ও মানুষের উপকারিতার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হবে। বিশেষভাবে Kanyashree, Lakshmi Bhandar, Swastha Sathi ইত্যাদির ফলাফলও প্রদর্শিত হবে, যাতে সাধারণ মানুষ এবং সমালোচক উভয়ই দেখতে পারেন সরকারের বাস্তব অর্জন।
রাজ্য রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা বলছেন, এই রিপোর্ট কার্ড শুধুমাত্র তথ্য ভাগাভাগি নয়, ভোটের আগে সরকারের কর্মক্ষমতা তুলে ধরার একটি কৌশল। বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলেছে— দুর্নীতি, প্রশাসনিক গাফিলতি বা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যর্থতা— সেসব চ্যালেঞ্জ করার জন্যও এটি ব্যবহার করা হতে পারে।
শাসকদল বলছে, রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে সরকার জনগণের কাছে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি তা দেখাতে চাইছে।১৫ বছরের অর্জনগুলোকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা, শহর ও গ্রামে মানুষ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখান, তা আগামী নির্বাচনের পূর্বাভাসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, “আমরা কাজ করেছি, জনগণ বিচার করবে”। সেই হিসাব আজ Nabanna–তে সামনে আসছে— যেখানে সাফল্য, ব্যর্থতা ও অগ্রগতি একসাথে থাকবে এক পাতা রিপোর্ট কার্ডে।